জিজ্ঞাসা–৯৩৯: আসসালামু আলাইকুম, আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছি আর সেই বিয়েতে সংখ্যাধিক সাক্ষী এবং একজন কাজীর উপস্থিতি ছিল কিন্তু উভয় পরিবারের অমতে বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছিল।পরে উভয় পক্ষ বিয়েটি মেনে নেয়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পর যদি উভয় পক্ষ মেনে নেয় তাহলে কি বিয়েটা বৈধ হবে?–তানজিনা আহমেদ।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
হানাফি ফেকাহ মতে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সমঝদার স্বাক্ষীর সামনে প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র ও পাত্রীর একজন প্রস্তাব দিলে এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নিলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। তবে ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামতকে ‘চূড়ান্ত মতামত’ হিসাবে সাব্যস্ত করলেও পাশাপাশি অভিভাবকের মতামতকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেখুন, আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: وأَنْكِحوا الأيامى منكم’আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।’ (সূরা নুর ৩২)
সুতরাং আপনাদের বিবাহ বৈধ হয়েছে। তবে অভিভাবককে গুরত্ব না দিয়ে আপনারা একটি মহা অন্যায় এবং অমানবিক ও অসামাজিক কাজ করেছেন, সুতরাং আল্লাহ তাআলার নিকট এই গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। পাশাপাশি অভিভাবকের সঙ্গে এমন আচরণ দেখান, যাতে তাঁদের মনোব্যথা দূর হয়ে যায়।
আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে পড়ুন জিজ্ঞাসা নং–২১৬ ও জিজ্ঞাসা নং–৫৫৫।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
হুজুর,অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোনো মেয়ের বিবাহ বাতিল বাতিল বাতিল।
এই হাদিসটির উল্লেখ না করার কারণ জানতে পারি?
এটি একটি ইজতিহাদি মাসআলা। উভয় মতের পক্ষেই দলিল আছে। আর এখানে কেবল হানাফি মাজহাবের দলিলগুলো পেশ করা হয়েছে।
Shosur shasuri biay mene nay nai onak khoti r shonsar bangar chestra r Amar bou k niay jawar chestra Kore ar theke muktir kono amol janaben
আল্লাহ্ তাআলা বলেন
{وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ}
সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বল যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবে তোমার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
[ সুরা – হা – মিম ৪১/৩৪ ]