আসসালামুয়ালাইকুম সম্মানিত মুফতি মহোদয়, আমি একজন দাওরা ফারিগ। বিয়ে সংক্রান্ত দুটি হালাত আপনার নিকট পেশ করছি। শরিয়তের বিধানের আলোকে জবাব দিবেন আশা করছি।
প্রথম হালত: জনৈক ব্যক্তি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সরকারি চাকুরিজীবী। তার বিয়ের ওলিমা তিনি সম্পূর্ণ সুন্নত পদ্ধতিতে করবেন কোনো মুবাহ জিনিসও তিনি রাখবেন না বলে স্থির করেছেন।ওলিমার দাওয়াত: আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে খালা-খালু, ফুফু-ফুফা, মামা-মামী, চাচা-চাচী প্রায় ৩০ জন (তাদের সন্তানাদি ছাড়া) আছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে দাওয়াত দিলেন।প্রতিবেশিদের মধ্যে বাড়িতে ১৫টি ঘর আছে। ৫ জনকে দাওয়াত দিলেন। বোন-বোন জামাই, ভাই-ভাবী উনাদের সন্তানাদি সহ ২০ জন আছে। ৫ জনকে দাওয়াত দিলেন। [সামাজিকভাবে অন্তত এই ৬৫ জনকে দিতে হচ্ছে। এবং তিনি তাদের মেহমানদারিতে সক্ষম। কিন্তু তা না করে তিনি ১৫ জনকে দাওয়াত দিলেন। তার যুক্তি হলো রাসুল (স) কম খরচের বিয়েকে বরকতপূর্ণ বলেছেন। আরেকটা যুক্তি, নিকটস্থ এই আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও মাহরাম-ননমাহরাম আছেন। তার পর্দার পরিবেশের সক্ষমতা থাকার পরেও এই যুক্তি দেখিয়ে তিনি এমন করলেন। এখন আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে চরম মনমালিন্য। তিনি ভাবছেন সুন্নত প্রতিষ্ঠায় কে খুশি হলো কে রাগ হলো দেখার বিষয় নয়।] এতদ সক্ষমতার পরেও তার এই চিন্তা ইসলামের মেজাজের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ।দ্বিতীয় হালত: জনৈক ব্যক্তি তার বোনের বিয়ে দিবে। তারাও মধ্যবিত্ত সক্ষম পরিবার। তার পরিবারেরও নিকটজনদের সংখ্যা প্রথম হালতের মতো। আকদের সময় তিনি অনুরূপ সংখ্যক নিকটজনদের মধ্য থেকে ৬৫ জনকেই দাওয়াত দিলেন। দরিদ্র অসহায় ৫ জনকে দিলেন। বরের সাথে দশ জনকে দিলেন। প্রয়োজন অনুযায়ী প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে বাবুর্চি আনলেন। তিনি মাহরাম – গাইরে মাহরাম সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থাপনা করলেন। এবং তিনি আগ্রহের সাথেই মেহমানদারি করলেন। কারণ তার মতে সুন্নাতী পদ্ধতিতে করার ক্ষেত্রে মুবাহ জিনিসগুলো বাধা নয়। সামাজিক সম্পর্ক ও আত্মীয়তার বন্ধন মজবুত রাখার জন্য এটিকে কার্যকরী মনে করছেন। তার এই কার্যক্রম বা বুঝটি কতটুকু ঠিক ?এবং এটিকেও কি সুন্নতের খেলাপ না হওয়ায় সুন্নত পদ্ধতিতে বিবাহ বলা যাবে ?
জাযাকুমুল্লাহ।
প্রশ্ন করেছে: ফিরোজ মাহমুদ
ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]