জিজ্ঞাসা–১৭৩৮: মুফতি সাবের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, যদি কেউ মাদ্রাসার জন্য জায়গা ওয়াকফ কারে। আর মাদ্রাসা হয়েছিল তারপর ১৫ বা ২০ বছর পরে মাদ্রাসা বন্ধ বা ধ্বংস হয়েগেছে এখন ওয়াকফ কৃত জায়গার হুকুম কি? ওয়াকফকারীর ওয়ারিশগণ কি তা ব্যবহার করতে পারবে? দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।–মুহিব্বুল্লাহ।
জবাব: ওয়াকফকারীর ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পদ ব্যবহার করা জায়েয হবে না। বরং সম্ভব হলে সেখানে পুনরায় মাদরাসা করবে। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে অন্য মাদরাসার কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
কেননা, ওয়াকফ তার খাতের সাথে খাস হয়ে থাকে এবং যে উদ্দেশ্যে করা হয়, সেই উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করতে হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, উমর রাযি. একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছিলেন, তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে,
لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ
তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর রাযি. তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করেছিলেন। (সহীহ বুখারী ২৭২৪)
আল্লামা ইবন আবেদীন রহ. বলেন,
لا يجوز صرف وقف مسجد خرب إلى حوض وعكسه. وفي شرح الملتقى يصرف وقفها لأقرب مجانس لها
বিরান মসজিদের ওয়াক্ফ কোন হাউজে খরচ করা যাবে না। অনুরূপভাবে হাউজের ওয়াকফ মসজিদে খরচ করা যাবে না। (তবে) খাত বিলুপ্ত ওয়াকফকে সমশ্রেণীর কোন খাতে ব্যয় করা হবে। (রদ্দুল মুহতার ৬/৫৫১)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী