জিজ্ঞাসা–১৮৫১: আমাদের এলাকায় কুরবানির গোস্ত এক তৃতীয়াংশ একসঙ্গে একত্রিত করে ভাগ করি। এমতাবস্থায় অনেকেই বলে, যারা কুরবানি দেয়, তারা এখান থেকে ভাগ নিতে পারবে না। এটার ব্যাপারে একটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।–সদরপুর থেকে।
জবাব: প্রত্যেক কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ বাধ্যতামূলকভাবে বিতরণের জন্য সামাজিকভাবে নিয়ে নেয়া, এরপর সেগুলোকে একত্র করে সমানভাবে ভাগ করে সমাজের প্রত্যেককে অর্থাৎ যারা কুরবানী করেছে আর যারা করে নি সবাইকে একেক অংশ দিয়ে দেওয়া; এটা গলদ তরিকা। যা অবশ্যই সংশোধনযোগ্য। যদি কেউ এ পদ্ধতিকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করে, তাহলে তা বিদআত হবে।
তবে যদি এমনিতে কুরবানীদাতাগণ যে যে পরিমাণ গোশত সামাজিকভাবে বিতরণ করতে আগ্রহী তা নিজ দায়িত্বে স্বতস্ফুর্তভাবে জমা দেয় আর সেখান থেকে যারা কুরবানী করেছে আর যারা করে নি সকলের বাড়িতে গোশত পাঠানো হয়, তাহলে এতে দোষণীয় কিছু নেই। অর্থাৎ, যা-ই করা হবে এবং যতটুকুই করা হবে, প্রত্যেকে সন্তুষ্টচিত্তে ও স্বতস্ফূর্তভাবে করবে। এক্ষেত্রে কারো ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। কেউ যদি নিজের অংশ নিজেই প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায় সে সুযোগ যেন থাকে; তাকে এখানে জমা করতে বাধ্য করা যাবে না। আর এখানে যারা জমা করবে তাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা দিতে বাধ্য করা যাবে না। (মাসিক আলকাউসার, ডিসেম্বর ২০০৭ ইং অবলম্বনে)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী