জিজ্ঞাসা–৪৩৫: আসসালামু আলাইকুম। হযরত, বর্তমান গল্প, উপন্যাসের বই পড়ার হুকুম কি? যদি তাতে অশ্লীলতা না থাকে এবং এধরণের গল্প লিখার শরয়ী বিধান কি?–বিনতে আব্দুল্লাহ।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রচলিত গল্প, উপন্যাসের বই পড়া জায়েয হবে কিনা তা নির্ভর করছে এগুলোর বিষয়বস্তুর উপর। এগুলোতে যদি এমন কিছু থাকে যা বাস্তব ও ইসলামের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক তবে তা পড়া বা লেখা জায়েয হবে না। তাছাড়া বিশেষ করে সাইন্স ফিকশান-জাতীয় গল্পের বইগুলোতে অনেক সময় কুফরি বিষয় নিয়েও লেখা থাকে যা ইসলামের সাথে সাঘর্ষিক। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তা ঈমান-আকিদা নষ্টের ‘কারণ’ হয় এবং নাস্তিকতার প্রতি ধাবিত করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছে যে অর্থহীন ও বেহুদা গল্প কাহিনী খরিদ করে, যাতে করে সে (মানুষদের নিতান্ত) অজ্ঞতার ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলার পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে, সে একে হাসি, বিদ্রুপ, তামাশা হিসেবেই গ্রহণ করে; তাদের জন্য অপমানকর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। (সূরা লোকমান ০৬)
আর একজন ঈমানদারের জন্য সময় অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস। গল্প, উপন্যাসে মূল্যবান সময় প্রচুর নষ্ট হয়। আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, রাসূল্লাহ ﷺ বলেছেন, من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيهএকজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)
সুতরাং প্রচলিত গল্প উপন্যাসের কল্প-কাহিনি না পড়ে কোরআন-হাদিসের সত্য-গল্প পড়ুন। সালফে সালেহিন ও আল্লাহওয়ালাদেরকে জানুন। ইনশা আল্লাহ, জীবন পাল্টে যাবে।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী