জিজ্ঞাসা–১২১৮: গোসল ফরজ হওয়ার পর পবিত্র কাপড় পরিধান বা স্পর্শ করলে কাপড় নাপাক বা অপবিত্র হয়?–মোঃ ফরহাদ উদ্দিন।
জবাব: গোসল ফরজ হওয়ার পর পবিত্র কাপড় পরিধান বা স্পর্শ করলে ওই কাপড়ে বাহ্যিক কোনো নাপাকি না লাগলে তা নাপাক হয় না।
উল্লেখ্য, ফরজ গোসল না করে নামায, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমণ করা নিষেধ। এছাড়া জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার করাসহ ইত্যকার কোনো কাজই নিষেধ নয়। একাধিক হাদীসে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন-
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল ﷺ-এর দেখা হল। আবু হুরায়রা রাযি. তখন জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা রাযি. গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা রাযি. বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করি নি। নবীজী ﷺ বললেন, سبحان الله ، إن المسلم لا ينجس সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। (সহীহ বুখারী ২৭৯)
তবে অন্যান্য কাজ একেবারে নিষেধ না হলেও কোনো কাজ করার আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদীসে এসেছে। যেমন-
عن عائشة قالت : كان رسول الله ﷺ إذا كان جنباً فأراد أن يأكل أو ينام توضأ وضوءه للصلاة
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন। ( সহীহ মুসলিম ৩০৫)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী