নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার দোয়া করা

জিজ্ঞাসা–৯২০: আল্লাহর কাছে ভালোবাসার মানুষকে স্বামী হিসেবে চাওয়ার দুয়া করা যাবে? উল্লেখ্য প্রেমের সম্পর্ক নেই কিন্তু আমি তাকে ভালোবাসি এবং সে ও আমাকে ভালোবাসে।– Asma Akter

জবাব: প্রিয় বোন, নির্দিষ্ট কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কামনা করে দোয়া করা উচিত নয়। উচিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছে উত্তমটা চাওয়া। আল্লাহর পক্ষে আপনার ধারণা থেকেও উত্তম জীবনসঙ্গী দেয়া কোন বিষয়‌ই না। তবে যদি এজাতীয় দোয়া করতে চান তাহলে এভাবে দোয়া করুন যে, ‘হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।’

কেননা, অনেক সময় এমন হয়, আজ যে জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকি, দু’ দিন পরই তা পেয়েছি বলে উৎকণ্ঠিত হই। আবার আজ যা থেকে দূরে সরে থাকার ব্যাপারে চেষ্টিত থাকি, কয়েক দিন পর তা পেয়েছি বলে আনন্দিত হই। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)
এজন্য ইবনুল জাওযী রহ. বলেন,
 فإياك أن تسأل شيئًا إلا وتقرنه بسؤال الخيرة ، فرب مطلوب من الدنيا كان حصوله سببًا للهلاك
আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কিছু নির্দিষ্ট করে চাওয়া থেকে বিরত থাকবে। তবে (কোন কিছু নির্দিষ্ট করে চাওয়ার) সময় কল্যাণের দোয়া যুক্ত থাকলে অসুবিধা নেই। কেননা, অনেক সময় অনেক দুনিয়াবি কাম্য বস্তু অর্জন ভবিষ্যতে ক্ষতির কারণ হয়। (চায়দুল খাতির ৩৫২)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

��ন্তব্য

  1. পরিবার অযাচিতভাবে আমার পছন্দের মেয়েকে আমার স্ত্রী হিসেবে মানতে চাচ্ছেনা।এক্ষত্রে তাকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?

    • মনে রাখতে হবে, বিবাহ নিছক ভোগ-বিলাসের উদ্দেশ্যে চঞ্চল মনের ভাবাবেগ তাড়িত কোনো বন্ধন নয়, এটি কোনো ছেলেখেলাও নয় বরং এটি হলো, আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রদত্ত ও নির্দেশিত নারী-পুরুষের সারাজীবনের একটি চিরস্থায়ী পূত-পবিত্র বন্ধন। এজন্য ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামতকে ‘চূড়ান্ত মতামত’ হিসাবে সাব্যস্ত করলেও পাশাপাশি অভিভাবকের মতামতকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সুতরাং ছেলে-মেয়ের জন্য বিশেষত মেয়ের জন্য আবশ্যক হলো, অভিবাবকের সম্মতি নিয়ে বিবাহ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + eighteen =