জিজ্ঞাসা–৪৮০: টয়লেট ও বাথরুম একসাথে হলে সেখানে গোসলের বিধান কি? বাচ্চারা অনেক সময় তাড়াহুড়াতে বা ভুলে গোসলখানাতে পেশাব করলে ঐ স্থান কি নাপাক হয়ে যাবে? পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেও গোসলখানা তো মোছা যায় না। এক্ষেত্রে বিধান কি? অযূ কিভাবে করব এখানে? –Ahona Ahmed
জবাব: গোসলখানাতে পেশাব করে দিলে যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয় যার ফলে সেখান থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা গোসলখানা পাক হয়ে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৩৩) যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক বেদুঈন এর মাসজিদে পেশাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারী ২১৯)
পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে অযু গোসল করতে কোন বাঁধা নেই।
তবে যেখানে পেশাব করা হয় ওই জায়গা নাপাক হয়ে যায় বিধায় বচ্চাদেরকে টয়লেটে ইস্তেঞ্জা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন; বাথরুমে বা গোসলের স্থানে নয়। হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফফাল রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ، فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ
তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা, অসঅসা সাধারনণতঃ এজন্যই সৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ২৭, তিরমিযী ২১)
তাছাড়া মানুষের পেশাব নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী