জিজ্ঞাসা–১৮৬৯: আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, بسم الله الرحمن الرحيم আমি বাবড়ি চুল রেখেছি। কিন্তু আমার আব্বা আম্মা মনে করেন, এতে আমার ক্ষতি হচ্ছে। আর আমার মনে হয় নবী করীম ﷺ এর সুন্নাহর অবহেলা হচ্ছে। আগে আমাকে চুল কাটার জন্য বেশি বেশি বলতেন এখন মাঝে মধ্যে বলেন। এখন আমার করণীয় কী?–সিলেট থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
পুরুষদের জন্য বাবরী চুল রাখা সুন্নাত। কেননা, রাসূলুুল্লাহ ﷺ-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল বাবরী চুল রাখা। তা তিন পদ্ধতিতে হতে পারে। এক. উভয় কাঁধ বরাবর। দুই. ঘাড়ের মাঝামাঝি। তিন. উভয় কানের লতি পর্যন্ত। (সুনানে আবু দাউদ ৪১৮৩-৪১৮৭)
কোনো বাবা-মা যদি বিশেষ কোনো যৌক্তিক কারণে তার সন্তানকে উক্ত সুন্নাত পালনে বাঁধা দেন তাহলে যেহেতু এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয় তাই এক্ষেত্রে তাঁদের হুকুম মানা ওয়াজিব।
তবে যদি তাঁদের এই নির্দেশের মাধ্যমে তাঁদের সুন্নাতের প্রতি অবহেলা ও অবজ্ঞা প্রকাশ পায় তাহলে তাঁদের এই নির্দেশ মানা যাবে না। (আলফাতাওয়া আলকুবরা ৫/৩৮১)
হাসান বসরী রহ. বলেন,
إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة : لم يطعها
যদি মা সন্তানের প্রতি মায়া দেখিয়ে ইশার জামাতে শরিক হতে বারণ করে তাহলে এ ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য করা যাবে না। (বুখারী ১/২৩০)
ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বাবা যদি সন্তানকে জামাতে নামায আদায় করা থেকে নিষেধ করে তাহলে কী করবে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, এ জাতীয় ক্ষেত্রে বাবার কথা অমান্য করবে। (গিযাউল লুবাব ১/৩৮৫)
তাঁকে আরো জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এক ব্যক্তি তাঁর সন্তানকে আদেশ করেছে যে, ফরয নামায ছাড়া কোনো নামায পড়বে না। এখন সন্তানের করণীয় কী? তিনি উত্তর দিয়েছেন, এই হুকুম অমান্য করবে এবং নফল পড়বে। (গিযাউল লুবাব ১/৩৮৪)