জিজ্ঞাসা–২৯৯: আস_সালামুয়ালাইকুম, আমি একজন ছাত্র, আমার একজন বন্ধু কম্পিউটারে গেইম খেলতে খুব পছন্দ করে এবং সে এই গেইম খেলার পিছনে অনেক সময় বায় করে, আমার প্রশ্ন হচ্ছে গেইম খেলা সম্পর্কে শরীয়তের বিধান কি?– Md Nazmul Hasan Ruhan: [email protected]
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
কম্পিউটারের বেশিরভাগ গেমসে অনেক মন্দ ও গোনাহর বিষয় যুক্ত থাকে। যেমন, ১. প্রাণীর ছবি। ২. মিউজিক, গান, বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র। ৩. বেপর্দা নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি। ৪. কাফেরদেরকে সম্মান করা, তাদের নষ্ট সংস্কৃতিকে প্রচার করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুবসমাজকে ধ্বংস করা। ৫. কাফেরদের ধর্মীয় শিরকি-কুফুরী বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করা। এছাড়াও আরো বহু মন্দ-বিষয় এসব গেমসে থাকে। সুতরাং এজাতীয় গেম খেলা জায়েয হবে না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ
‘‘যারা চায় যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রচার ঘটুক তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।’’ (সূরা নূর: ১৯)
আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, রাসূল্লাহ ﷺ বলেছেন, من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيهএকজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী : ২২৩৯)
আরো পড়ুন: ভিডিও গেমস খেলা বৈধ কিনা?
আরো পড়ুন: দাবা খেলা জায়েয আছে কিনা?
আরো পড়ুন: কুকুর পালা যাবে কি?
বিনোদন যদি পেশায় পরিণত হয় তাহলে তা কি যায়েয হবে? যেমন কেউ যদি বিনোদন হিসেবে সেলাইয়ের কাজ শুরু করে কিন্তু মাঝে মাঝে যদি সে সেলাইয়ের মাধ্যমে উপার্জন করে, মূল পেশার পাশাপাশি।
যে বিনোদনে গুনাহর কোনো বিষয় থাকে না; পাশাপাশি নিজে এবং অন্যরা উপকৃ্ত হয় ওই বিনোদনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয।