মাসিক চলাকালীন স্বামী সহবাসের জন্য জোর খাটালে স্ত্রীর করণীয় কী?

জিজ্ঞাসা–১২৩৫: যদি কোন মহিলার হায়েজ অবস্থায় স্বামী তার অধিকার দেখিয়ে সহবাস করতে জোর করে বা আহবান করে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কী?–মোঃ হেলাল।

জবাব:

এক. সন্দেহ নেই, মাসিক অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রীর যোনিপথে সহবাস করা হারাম। কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍﷺ

যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে অথবা স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে অথবা গণকের নিকটে যায় সে মুহাম্মাদ -এর ওপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে। (জামে তিরমিযী  ১৩ ইবনু মাজাহ ৬৩৯)

তবে এ অবস্থায় যোনি ব্যবহার ও পুংমৈথন ছাড়া অন্য সব উপায়ে স্ত্রী থেকে যৌনসুখ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلا النِّكَاحَ

সহবাস ব্যতীত তার সাথে সবকিছু কর। (মুসলিম ৩০২)

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنْ بَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ إِذَا أَرَادَ مِنَ الْحَائِضِ شَيْئًا أَلْقَى عَلَى فَرْجِهَا ثَوْبًا

রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কোন এক স্ত্রী সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কিছু করতে চাইলে স্ত্রীর লজ্জাস্থানের উপর কাপড় রেখে তারপর করতেন। (আবূ দাউদ ২৭২)

দুই. কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি স্ত্রীর মাসিক চলা অবস্থায় জেনেশুনে তার সঙ্গে সহবাস করতে চায় তাহলে ইসলামের শিক্ষা হল,لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق অর্থাৎ, আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা যেখানে আসবে, সেখানে সৃষ্টির আনুগত্য কোনো অবস্থাতেই করা যাবেনা। সুতরাং স্ত্রী কোনোভাবেই স্বামীর এ কাজে সাড়া দিতে পারবে না; বরং তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। যদি সে না শুনে তাহলে প্রয়োজনে সে এর জন্য স্বামীর নিকট তালাকের দাবীও করতে পারবে। (মাজমুু’উল ফাতাওয়া ৩২/২৬৭)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + eleven =