জিজ্ঞাসা–২৭৩: শায়েখ, আসসালামুওয়ালাইকুম। মানুষ মারা যাওয়ার পরে মৃতব্যক্তির কাফনের কাপড়ের উপর যে আহাদনামা লিখা হয়; তা কি ঠিক?–মোঃ ফোরকান হোসাইন।
জবাব:وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, মৃতব্যক্তির কাফনে বা কবরের মাঝে কোন দো’আ কালাম বা কালিমা ইত্যাদি লিখে দেয়া–সমাজে যা আহাদনামা হিসাবে প্রচলিত–এর কোন ভিত্তি শরিয়তে নেই এবং এতে কোন ফায়দাও নেই। তাছাড়া এতে দোয়া কালাম কিংবা কালিমার অবমাননা হয়।
আর কেউ যদি এই বিশ্বাসে এগুলো মাইয়্যেতের সঙ্গে দেয় যে, এগুলো সাথে থাকার কারণে তার কবরের আজাব হবে না বা হালকা হবে। তাহলে এধরণের বিশ্বাস রাখা তো ভুল। কেননা মৃত্যুর পর ব্যক্তির নেক আমলই কেবল কাজে দিবে। অন্যকিছু কবরের আজাব থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। সুতরাং এটা না করাই ভাল।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ»
‘‘আবু হুরায়রা রাযি.থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন যে, মানুষ যখন মারা যায় তখন তিনটি আমল ব্যতীত তার সকল আমলই বন্ধ হয়ে যায়। ১. সাদাকায়ে জারিয়া, ২. মানুষ উপকৃত হয় এমন ‘ইলম এবং ৩. নেক সন্তান, যে তার জন্য দু‘আ করে। (মুসলিম ৩০৮৪)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী