রোজাবস্থায় মলম ক্রিম লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে কি?

জিজ্ঞাসা–১৮৩: roja rakha somai jode sorire kono cream(drug) makhi taile ki rojar kisu khoti hobe?— naim hossain

জবাব: রোজার ব্যাপারে সাধারণ মূলনীতি হল, “বাইরে থেকে রোজাবস্থায় যে কোন  পদ্ধতিতে শরীরের ভিতর কিছু প্রবেশ করলে, যদি তা পাকস্থলী অথবা মগজে প্রবেশ করে, তবে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।” এই মূলনীতির আলোকে রোজা অবস্থায় তেল, আতর, সুরমা, লোশন, ক্রিম, মলম, পাওডার, মলম বা চিকিৎসার্থে চামড়ায় ব্যবহৃত প্লাস্টার যাতে ওষুধ বা কেমিক্যাল পদার্থ থাকে ইত্যাদি তা রোজা ভঙ্গ করে না। কারণ, এগুলো পাকস্থলী অথবা মগজে পৌঁছে না। (ইবনে জিবরীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭)

যেমন হাদীস শরীফে সুরমা সম্পর্কে এসেছে, আর সুরমার যে হুকুম, তেল ক্রিম ইত্যাদিরও একই হুকুম।

عن أنس بن مالك: قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه و سلم فقال اشتكت عيني أفأكتحل وأنا صائم ؟ قال نعم

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি. হতে বর্ণিত, একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, আমার চোখ দু’টিতে কষ্ট পাচ্ছি। রোজাবস্থায় এতে সুরমাব্যবহার করতে পারি কী? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (সুনানে তিরমিযী ১/১৫৪)

والله اعلم بالصواب

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =