জিজ্ঞাসা–৬৩৯: সুন্নত, নফল, ওয়াজিব ও ওমরী কাযা নামাযে কি শব্দ করে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? আমার শব্দ করে তিলাওয়াত করলে খুব মজা লাগে নামাজে।— আহমাদ।
জবাব: দিনের নফল নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। এজন্য ভুলে দিনের নফলে জোরে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। আর ইচ্ছাকৃত পড়লে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হয়। পক্ষান্তরে রাতের নফল নামাযে উচ্চস্বরে ও নিম্নস্বরে দুভাবেই পড়া যায়। তাবিঈ হাকিম ইবন ই’কাল রহ. দিনের নামাযে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া থেকে নিষেধ করতেন এবং বলতেন, يَرْفَعُ بِاللَّيْلِ إِنْ شَاءَ রাতের নামাযে ইচ্ছে হলে উচ্চস্বরে পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩৬৭১)
রাতের নফল নামাযে অন্তত এই পরিমাণ উচ্চস্বরে পড়া উত্তম, যাতে নিজে স্পষ্ট শুনতে পায়। হাসান বসরী রহ. বলেন,صَلَاةُ النَّهَارِ عَجْمَاءُ، وَصَلَاةُ اللَّيْلِ تُسْمِعُ أُذُنَيْكَ দিনের নামায নিম্নস্বরের এবং রাতের নামায তোমার কানকে শুনাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩৬৬৪)
যে সকল ফরয নামাযে উচ্চ স্বরে কেরাত পড়া হয় তা যদি একা আদায় করা হয় তাহলে তাতে নিম্নস্বরে ও উচ্চস্বরে দুভাবেই কেরাত পড়া যাবে। তবে উচ্চ স্বরে পড়া উত্তম। (বাদায়েউস সনায়ে ১/৩৯৬; ফাতহুল কাদীর ১/২৮৫; রদ্দুল মুহতার ১/৫৩৩)
সুতরাং মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য আপনি রাতের নফল নামাযে, বিতিরে এবং ফজর-মাগরিব ও ইশার ওমরী কাযাতে উচ্চস্বরে কেরাত পড়তে পারবেন। এ ছাড়া অন্য নামাযে পারবেন না।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী