জিজ্ঞাসা–১৬০৫: অবাঞ্ছিত লোম, মাথার চুল ইত্যাদি এসব কাটার ফলে কি শরীর নাপাক হয়ে যায়? যদি না হয় তাহলে কি গোসল ব্যাতীত সালাত আদায় করা যাবে? বিস্তারিত কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানাবেন।–মিজানুর রহমান।
জবাব: অবাঞ্ছিত লোম, মাথার চুল ইত্যাদি কাটার ফলে শরীর নাপাক হয় না এবং গোসলও ফরজ হয় না। কেননা হাদিসে এগুলোকে নাপাক বলা হয় নি। সুতরাং নামাজ পড়তে চাইলে সাধারণভাবে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করার পর ওজু করে নিলেই চলবে। তবে ইসলামে নাভির নিচের লোম, বগলের নিচের পশম, নখ ইত্যাদি পরিষ্কারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৪০ দিন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর অতিরিক্ত সময় নখ ও শরীরের অতিরিক্ত লোম পরিষ্কার না করা মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ।
এ মর্মে সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী