জিজ্ঞাসা–১২১৫: প্রিয় শায়খ, এক লোক তার স্ত্রীকে বলল, তার স্ত্রী ও শশুরের নাম উল্লেখ করে, অমুকের মেয়ে অমুককে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। সে মাঝে মাঝে পাগল/মাতাল হয়ে যায়। অবশ্য তালাকের সময় পরিপূর্ণ সুস্থ ছিল দাবি করে। এই অবস্থায় করণীয় কী? জানিয়ে বাধিত করবেন।–উম্মুল কুরআন।
জবাব: পরিষ্কার ভাষায় সুস্থ মস্তিষ্কে তিন তালাক দেয়ার মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির বিবাহ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৪ দারুল ফিকর)
হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা রাযি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ
তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত। (আবু দাউদ ২১৯৪ তিরমিযি ১১৮৪)
এখন যদি সে তার স্ত্রীকে পুনরায় বরণ করে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকে তাহলে এর জন্য একমাত্র বৈধ ব্যবস্থা হলো ‘হালালাহ’ করা। অর্থাৎ উক্ত স্ত্রীকে অন্য স্বামীর নিকট নিয়মিত বিবাহ দেয়া এবং তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠা। অতঃপর তাদের মাঝে সংসার জীবনে কোনো কারণে যদি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়; তবে ইদ্দত পালনের পর তাকে সে পুনরায় বিয়ে করতে পারবে। উক্ত স্ত্রীকে পুনরায় বরণ করে নেয়ার এই ছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
অতঃপর স্বামী যদি স্ত্রীকে তৃতীয় তালাক দেয় তবে অন্য লোকের সাথে বিবাহ দেয়া ব্যতিত সেই স্ত্রী (প্রথম) স্বামীর জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। (সূরা বাকারা-২৩০)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী