জিজ্ঞাসা-১৯:অযথা ছবি তোলা জায়েজ কিনা?–আমার বাড়ি কবর
জবাব : প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা জায়েজ নয়। ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা আর ছবি আঁকার বিধান একই। উভয়টিই সম্পূর্ণ হারাম। কেননা শরীয়তে যেই বিষয় মৌলিকভাবে জায়েজ নয় তা করার যন্ত্র পাল্টে গেলেও তার হুকুম পাল্টে না, যেমন মদ খাওয়া হারাম। হাতে মদ বানালে যেই হুকুম, মেশিনে বানালেও একই হুকুম। কুরআন-হাদীসের আলোকে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, চার মাজহাবের ইমামগণ ও হক্কানী উলামায়ে কেরাম ছবি তোলাকে নাজায়েয, হারাম ও কবীরাহ গুনাহ বলেছেন| বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন| উপমহাদেশের বড় বড় মাদ্রাসা ও ফতোয়া বিভাগের মুফতীবৃন্দ ছবি তোলাকে নাজায়েয বলেই ফতোয়া দিয়েছেন|
ছবি আঁকা, ছবি তোলা বা ফটোগ্রাফিতে যেহেতু আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিগুণের সাদৃশ্য অবলম্বনের চেষ্টা ও ধৃষ্টতা প্রকাশ পায়, তাই ইসলামী শরীয়তে এগুলোকে নাজায়েয বলে ঘোষণা করা হয়েছে| এক্ষেত্রে ছবি হাতে আঁকা হোক বা ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা হোক, তা শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘তাছবীর’ বলেই গণ্য হবে| পদ্ধতির ভিন্নতা তার প্রকৃতি বা হুকুমের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না| তবে এখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছবির দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, জীবের ছবি| সেটা মানুষেরই হোক বা অন্য কোনো প্রাণীর| অর্থাৎ পশু পাখি, জীব জানোয়ার, সব ধরণের প্রাণীর ছবিই নিষিদ্ধ ও হারাম।
ইবনে ‘আব্বাস রা. বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “প্রত্যেক চিত্রকর জাহান্নামে যাবে, এবং প্রত্যেক চিত্রের জন্য যা সে তৈরি করেছে একটা করে আত্মা তৈরি করা হবে যাকে জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেওয়া হবে।” ইবনে আব্বাস বলেনঃ “যদি তোমাদের তা করতেই হয় তাহলে বৃক্ষ এবং অন্যান্য প্রাণহীন জিনিষের চিত্র তৈরি করো।”– মুসলিম, ৩/১৮৭১
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী