জিজ্ঞাসা–৭৩৪: আসর নামায কি সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই পড়তে হবে। নাকি মাগরিবের আগ পর্যন্ত পড়া যায়? আমার ক্লাস থাকে 3.30-5.00 পর্যন্ত। এমতাবস্থায় আমার জন্য কখন পড়া শ্রেয়। ক্লাসের আগে পড়তে পারব না পরে পড়ে নিব? শাফিঈ মাযহাব অনুযায়ী তো তিনটার আগেই ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।–Samiya
জবাব: প্রতিটা জিনিসের আসল ছায়া ব্যতীত তার ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের ওয়াক্ত থাকে। জোহরের নামাযের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথে আসরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। এর মাঝখানে কোনো বিরতি নেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আসরের ওয়াক্ত থাকে। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪২৫) সূর্য হলুদবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (১৫ মিনিট) মাকরুহ-সময়। তবে কেউ যদি ওই দিনের আসরের নামাজ সঠিক সময়ে পড়তে না পারে তাহলে সূর্যাস্তের আগে হলেও তা পড়ে নিতে হবে। কাযা করা যাবে না। কারণ রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন,مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের সালাতের এক রাকাআত পেল সে আসরের নামায পেল। (নাসায়ি ৫১৮)
সুতরাং আপনি উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আসরের নামায আদায় করবেন।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
কোন নবী শুধুআসরেরনামাযপড়তেন?
আছরের নামাজ সর্ব প্রথম হযরত ইউনুস আ: পড়েছিলেন। তিনি মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আসরের সময়। তাই তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য চার রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। আল্লাহ পাক অামাদের জন্য এই চার রাকাত নামাজ আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। যাতে এই নামাজের কল্যাণে উম্মতে মুহাম্মাদী সকল অন্ধকার ও জুলমাত থেকে বাঁচতে পারে। (তোহফাতুল মুমিনীন।