জিজ্ঞাসা–১২৭০: ইমামের সাথে নামাজ পড়া অবস্থায় ইমাম যখন উচ্চস্বরে কেরাত পড়ে সেক্ষেত্রে আমার কি ইমামের সাথে কেরাত পড়তে হবে? এবং অন্য সুরা মিলানোর সময়ও কি ইমামের সাথে পড়তে হবে? না কি শুধু শুনে থাকতে হবে?–Syful Islam
জবাব: জামাতে নামাযে পড়ার সময় ইমাম যা বলবেন ও করবেন মুসল্লিগণ তা-ই করবেন ও বলবেন। তবে ইমাম যখন কেরাত পাঠ করবেন, তখন মুসল্লিগণ চুপ থাকবেন। এমনটিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন, আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إنَّما جُعِلَ الإمامُ ليؤتمَّ به، فإذا كبَّر فكبِّروا، وإذا قرأَ فأَنصِتوا، وإذا قال: غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ، فقولوا: آمِينَ، وإذا ركَع فارْكعوا، وإذا قال: سمِعَ اللهُ لِمَن حمِدَه، فقولوا: اللهمَّ ربَّنا ولك الحمد، وإذا سجَد فاسجدُوا
জামাতের নামাযে ইমাম হল অনুসরণের জন্য। অতএব, ইমাম যখন আল্লাহু আকবর বলবে, তোমরাও আল্লাহু আকবর বলবে। আর ইমাম যখন কেরাত পড়বে তখন তোমরা চুপ থাকবে। যখন ইমাম বলবে غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। যখন তিনি রুকু করবেন তখন তোমরাও রুকু করবে। যখন তিনি سمِعَ اللهُ لِمَن حمِدَه বলবে তখন তোমরা اللهمَّ ربَّنا ولك الحمد বলবে। যখন তিনি সিজদা দিবেন তখন তোমরাও সিজদা দিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১/৬১)
অপর হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৮৫০ মুসনাদে আহমাদ ১৪৬৪৩)
মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা-এর মধ্যে রয়েছে ,
وذهب الحنفية إلى أن المأموم لا يقرأ مطلقا خلف الإمام حتى في الصلاة السرية ، ويكره تحريما أن يقرأ خلف الإمام
অর্থাৎ, এবং হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম এই দিকে গিয়েছেন যে, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কোন অবস্থায় কেরাত পড়বে না। এমন কি নিরবে কেরাত পড়ার নামাযেও এবং ইমামের পিছনে কেরাত পড়া মাকরূহে তাহরীমী। (আল মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা ৩৩/৫৩)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী