জিজ্ঞাসা–১৩৩০: আসসালামু অলাইকুম! আমি একটি বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত! প্লিজ সঠিক উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন! ইসলামিক গল্প উপন্যাস পড়া কি হারাম? অর্থাৎ যেই গল্পে বিয়ের পর স্বামীর প্রতি দ্বায়িত্ব, কর্তব্য, প্রেম, ভালোবাসার উল্লেখ আছে এবং শশুর শাশুড়ির সাথে নমনীয় ব্যবহার ও পর্দার শিক্ষা দেয়! এমন উপন্যাস পড়া কি হারাম হবে?–নাঈম।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
গল্প-উপন্যাসে যদি এমন কিছু থাকে যা বাস্তব ও ইসলামের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক তবে তা পড়া জায়েয হবে না। আর যদি এমন কিছু না থাকে; বরং যদি ভাষাশিক্ষা, সাহিত্যচর্চা, মনুষ্যত্বের বিকাশ, চরিত্র সংশোধন, আত্মসমালোচনা, সমাজ সংস্কার, দেশপ্রেমসহ ইসলাম ও ঈমানবান্ধব উপকারী বিষয়গুলোর শিক্ষা থাকে তাহলে সে সকল গল্প-উপন্যাস পড়া নিষেধ নয়। এ ধরণের গল্প-উপন্যাস তখন উদাহরণ ও উপমা হিসেবে পরিগণিত হবে।
এ বিষয়ে আরবের অন্যতম আলেম ড. সালিহ আল মুনাজ্জিদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে,
هل يجوز كتابة قصص مختلقة لأجل الدعوة وتوضيح المفاهيم الإسلامية للناس وخصوصا صغار السن ؟ وهل هو من المعصية أن نتخيل حالات ونكتبها كأنها قصص واقعية ؟
‘মানুষকে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের কাছে দাওয়াত ও ইসলামের বক্তব্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গল্প লেখা জায়েয আছে কি এবং এক্ষেত্রে বিভিন্ন কাল্পনিক অবস্থাকে বাস্তবের মত করে উপস্থাপন করলে কোনো গুনাহ হবে কি?’
উত্তরে তিনি লিখেন,
إذا كان ذلك موضحاً ومبيناً أنها لم تحصل وإنما هي مضروبة للمثل فلا بأس مع العناية بأن تكون نافعة في أسلوبها ومضمونها وهدفها وعند ذلك تكون من البيان والإيضاح للدّين ووسيلة مؤثّرة للتوجيه والإرشاد
‘যদি এটি পুরোপুরি পরিষ্কার থাকে যে, এটি আসলে ঘটে নি; বরং গল্প-উপন্যাস শুধুমাত্র একটি উদাহরণ দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। তবে তার ভাষাশৈলী, বিষয়বস্তু ও লক্ষ্য উপকারী কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তখন উক্ত গল্প-উপন্যাস হবে দীনের একপ্রকার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ এবং উপদেশ ও শিক্ষাদানের কার্যকর মাধ্যম।’ (https://islamqa.info/ar/answers/4505)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী