জিজ্ঞাসা–১৬৫৯: আমাদের মার্কেটে ঈদে মীলাদুন্নবী সাঃ উপলক্ষে চাঁদা তোলার প্রচলন আছে। আলেমদের কাছে শুনেছি, ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন করা বেদআত। এখন আমার প্রশ্ন হল, এজাতীয় বেদআতী অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেওয়া কতটুকু বৈধ হবে? আশা করি উত্তর দিবেন।–আপনার একজন ভক্ত।
জবাব: পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হল, সাহায্য-সহযোগিতা হতে হবে শুধু সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির ক্ষেত্রে। গুনাহ ও জুলুমের ক্ষেত্রে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যের সহযোগিতা করো, গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহায়তা করো না। (সূরা মায়েদা ২)
উক্ত মুলনীতির আলোকে বলা যায়, যেহেতু প্রচলিত ঈদে মিলাদুন্নবী কুরআন-সুন্নাহ, খোলাফায়ে রাশেদীন ও তাবেয়ীদের প্রদর্শিত পথ নয় বিধায় নিঃসন্দেহে একটি বিদআ’তি কাজ। তাই এখানে চাঁদা দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে সহযোগিতা করাও জায়েয হবে না।