জিজ্ঞাসা–১৮৪৪: আমার প্রশ্ন হল, আমার কোনো প্রকার গচ্ছিত টাকা নেই বরং ঋণ আছে। কিন্তু বাবার রেখে যাওয়া কিছু জমি আছে তা আবার বন্দক রাখা আছে। দিন রুজি করি চলি, তাই আমার উপর কি কোরবানি করা ওয়াজিব জানতে চাই–রূপগঞ্জ থেকে।
জবাব: নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কুরবানীর দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকে, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)
প্রিয় ভাই, আপনার ওপর কুরবানী ওয়াজিব কিনা; এবার উক্ত মাসআলার আলোকে আপনি হিসেব করে নিতে পারবেন।
প্রকাশ থাকে যে, নেসাব হল : স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। আর অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ। স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয় তবে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে কিংবা এর সাথে প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্ত্তর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও কুরবানী ওয়াজিব হবে। স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বাৎসরিক খোরাকীর জন্য প্রয়োজন হয় না এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র-এ সবই কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী