জিজ্ঞাসা–৬৩১: Aquriam এ মাছকে সঠিক যত্ন নিয়ে লালন পালন করা যাবে কিনা?–Nabil Hassan
জবাব: একুরিয়ামে মাছ পালা শরিয়তে নিষেধ নয়। কেননা, সৌখিনতা ও নান্দনিকতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বৈধ প্রাণী পোষা সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। তবে পরিচর্যা প্রয়োজন। যেমন মাছের নিয়মিত খাবার, পানি বদল অাবশ্যক।
হাদিসে এসেছে, আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম ﷺ-এর কাছে প্রিয় ছিল আমার এক ভাই, তার নাম আবু উমায়ের। আমার মনে আছে, সে যখন এমন শিশু যে মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে মাত্র। রাসূল ﷺ তার কাছে আসতেন এবং বলতেন, ‘হে আবু উমায়ের! কি করেছে তোমার নুগায়ের?’ নুগায়ের হল এমন একটি ছোট পাখি যার সাথে আবু উমায়ের খেলা করত। নুগায়ের মারা গিয়েছিল। নবী করিম ﷺ তাকে নুগায়েরের জন্য চিন্তিত দেখলেন এবং তার সাথে খেলা করলেন।(বুখারি ৬২০৩)
বরং যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান, পরিচর্যা ও যত্ন নিতে পারলে সাওয়াবেরও সম্ভাবনা আছে। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম রাযি. রাসূল ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করেন,
قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হে আল্লাহর রাসূল! জীবজন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। (বুখারি ২৩৬৩)
আর যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান, পরিচর্যা ও যত্ন না নিতে পারলে জায়েয হবে না। হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ، فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ، لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا، إِذْ حَبَسَتْهَا، وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ
ইবনে উমার রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে। (বুখারি ২৩৬৫, ৩৩১৮, ৩৪৮২, মুসলিম ২২৪২, দারেমি ২৮১৪)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী