জিজ্ঞাসা–১৭৯৯: কাযা রোজা রাখার নিয়ম বলবেন কি?–সীমা আক্তার।
জবাব: শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণে সময় মতো রোজা পালন করতে না পারলে অথবা রোজা রেখে ভেঙে ফেললে পরে তা আদায় করাকেই কাযা বলে।
যত দ্রুত সম্ভব কাযা রোজা আদায় করে নেয়া কর্তব্য। তাই ঈদের পরপর-ই যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাযা রোজা আদায় শুরু করা উত্তম। কোনো কারণ ছাড়া কাযা রোজা আদায় করতে বিলম্ব করা মাকরুহ। এক রমজানের কাযা রোজাগুলো আগামী রমজান আসার আগে আদায় করে নেয়া ওয়াজিব। যদি বিনা কারণে আগামী রমজান পর্যন্ত বিলম্ব করে, তাহলে গুনাহগার হবে। বছরের যে কোনো দিন কাযা রোজা আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ দিনগুলো বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ যেসব দিনে রোজা রাখা ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ সেসব দিন বাদ দিতে হবে। যেমন ঈদ উল ফিতরের দিন, ঈদ উল আযহারের তিন দিন ইত্যাদি। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি বছরের নির্দিষ্ট কোনো দিনে রোজা রাখবে বলে মানত করে, তাহলে সেই দিনও কাযা রোজা আদায় করা যাবে না। পিরিয়ডের কারণে যেসব নারী রমজানের সবগুলো রোজা রাখতে পারেননি, তারাও উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করবে। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯৫০, মুসলিম, হাদি : ১১৪৬)
কাযা রোজা ও রমজানের রোজার নিয়তের সময়ের মধ্যে পার্থক্য:
রমজানে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত নিয়তের সুযোগ থাকলেও কাযা রোজার ক্ষেত্রে তেমনটি নেই; বরং কাযা রোযার নিয়ত সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার আগেই করতে হবে। দিনের বেলা কাযা রোযার নিয়ত করলেও তা নফল রোযা হিসেবে গণ্য হয়। (কিতাবুল আছল, খন্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১৬৪)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী