জিজ্ঞাসা–৬৭৩: আসসালামু আলাইকুম। প্রশ্নঃ ঘুষ আদান-প্রদানকারীর আখিরাতের শাস্তি সম্পর্কে অনুগ্রহ করে জানাবেন?–নোমান।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
নিঃসন্দেহে ঘুষের লেনদেন হারাম ও কবিরা গুনাহ। কেননা,
১. ঘুষ জুলুমের দায়ে অভিযুক্ত : ঘুষের মাধ্যমে অন্যের প্রতি আর্থিক ও মানসিক জুলুম করা হয় বলে ঘুষখোররা জালেম হিসাবে অপরাধী। জুলুমের শাস্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,اتَّقُوا الظُّلْمَ ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, জুলুম কেয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে আচ্ছন্ন করবে। (মুসলিম ৪৮০৩)
তিনি আরও বলেছেন,
مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لِأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ ، فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ ، قَبْلَ أَنْ لَا يَكُونَ دِينَارٌ وَلَا دِرْهَمٌ ، إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ ، أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
কারো উপর তার ভাইয়ের কোন প্রকার দাবি থাকলে সে যেন তাতে থেকে মুক্ত হয়ে যায়। কেননা সেখানে (আখেরাতে) কোন দিনার-দিরহাম (টাকা-পয়সা) থাকবে না। তার অন্যায়ের সমপরিমাণ নেকী তার ভাইয়ের জন্য কেটে নেয়ার আগেই। তার যদি নেকী না থাকে তাহলে তার ভাইয়ের গুনাহগুলো নেয়া হবে, অতঃপর তার উপরে চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারি ২৪৪৯)
২. ঘুষখোর হারাম ভক্ষণকারী হিসাবে শাস্তিযোগ্য : রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لَا يَرْبُو لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ إِلَّا كَانَتْ النَّارُ أَوْلَى بِهِ আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে ওঠে তার জন্য দোযখের আগুনই উত্তম। (তিরমিযি ৬১৪)
৩. ঘুষ লেনদেনকারীরা রাসূল ﷺ কর্তৃক অভিশপ্ত : আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে লানত করেছেন। (আবুদাউদ ৩৫৮০, আহমাদ ৬৭৯১)
আল্লাহ আমাদের ঘুষসহ যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত থাকার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী