জিজ্ঞাসা–১১৬৩: পুকুরের চিংড়ি খাওয়া কি জায়েজ?–nafisa
জবাব: এক্ষেত্রে মূলনীতি হল, জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী খাওয়া জায়েয নেই। কেননা জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছই একমাত্র উৎকৃষ্ট হালাল বস্তু, আর বাকিগুলো নিকৃষ্ট ও হীন বস্তু। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৩/৫১১)
চিংড়ি পুকুরের হোক বা সমুদ্রের তা মাছ কিনা–এ নিয়ে ফকিহদের মাঝে ব্যাপক মতপার্থক্য আছে। তাই অনেকে এটিকে হালাল বলেন, আবার অনেকে এটিকে মাকরূহে তাহরীমি বলেন। আবার অনেকে এটাকে মাকরূহে তানযীহী তথা না খাওয়া উত্তম বলেছেন। (কিতাবুন নাওয়াযিল ১৪/৪১৩)
বস্তুত প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে চিংড়ি হলো আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভূক্ত কিন্তু মাছ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভূক্ত। চিংড়ির দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান, যা কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায় না। এ কারণে তাদের মতে চিংড়িকে মাছ বলা হলেও মাছ নয়।
তবে চিংড়ি কোনো মাছ না হলেও যারা এটা খায় তারা একে কোনো পোকা হিসেবে খায় না; বরং মাছ হিসেবেই খায়, তাই ফকিহদের এক বিশাল অংশ একে মাছ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটা হারাম হতে পারে না; বরং এটি হালাল।
মুফতি আমিমুল ইহসান মুজাদ্দিদি রহ. লিখেছেন, মাছ হলো মানুষের মধ্যে যে জলজ প্রাণীকে মাছ বলে গণ্য করা হয়। এটি এমন এক জলজ প্রাণী, যার অসংখ্য প্রকারভেদ ও আকৃতি রয়েছে।’ (আত্তারিফাতুল ফিকহিয়্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী