জিজ্ঞাসা–২০১: ছেলেরা পরিপূর্ন রূপে বালেগ কখন হয়?–মোঃ মুবিন।
জবাব: ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বালেগ হওয়ার বয়সসীমা ও আলামত শরীয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হবে এবং তখন থেকেই শরীয়তের হুকুম-আহকাম তার উপর প্রযোজ্য হবে। ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল:
ক) স্বপ্নদোষ হওয়া।
খ) বীর্যপাত হওয়া।
গ) দাঁড়ি বা গোঁফ উঠা।
আর মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হল:
ক) স্বপ্নদোষ হওয়া।
খ) হায়েয (ঋতুস্রাব) আসা।
গ) গর্ভধারণ করা।
ঘ) স্তন বড় হওয়া।
বালেগ হওয়ার উপরোক্ত নির্দিষ্ট আলামত যদি কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে উভয়ের বয়স যখন হিজরী বর্ষ হিসাবে পনেরো বছর পূর্ণ হবে তখন প্রত্যেককে বালেগ গণ্য করা হবে এবং পনেরো বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সে বালেগ বলেই বিবেচিত হবে। (আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১)
হাদিস শরিফে এসছে, নাফে রহ. আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে (সবার সামনে) পেশ করেন, তখন আমি ১৪ বছরের বালক। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেন নি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করেন ও অনুমতি দেন। তখন আমি ১৫ বছরের যুবক। নাফে রহ. বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শুনালাম। তিনি বলেন, إِنَّ هَذَا لَحَدٌّ بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তাঁর গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (বুখারি ২৬৬৪, ৪০৯৭ মুসলিম ১৮৬৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী