জিজ্ঞাসা–১৬৩: তাকবিরে উলার সীমা কতটুকু এবং সানা কখন থেকে পড়তে হবে না?— ফারহান: [email protected]
জবাব: তাকবীরে উলা সম্পর্কিত হাদীসটি নিম্নরূপ :
من صلى أربعين يوما في جماعة يدرك التكبيرة الأولى كتب له براءتان : براءة من النار، وبراءة من النفاق
‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামায আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবীরও পাবে তার জন্যদুটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে। (এক) জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (দুই) নেফাক থেকে মুক্তি। (তিরমিযী ১/৩৩; আততারগীব ১/২৬৩)
এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইমামের প্রথম তাকবীর বলার সাথে সাথে তাকবীর বলে নামাজ শুরু করলে তাকবীরে উলা পাবে। সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথেই নামাজে শরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেও কোনো কোনো ফকিহ তাকবীরে উলার সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৫৪ আলমুহীতুল বুরহানী ২/১০৭ হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ১৪০রদ্দুল মুহতার ১/৫২৬)
আর ইমামের কেরাত শুরু হয়ে গেলে সানা পড়া যায় না।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
সম্পুরক প্রশ্নঃ জামাতের এক রাকাত মিস হয়ে গেলে ইমামের সালাম ফিরানো শেষে যখন উঠে দারাব, তখন কি সানা পড়তে হবে? না সূরা ফাতেহা থেকে শুরু করব?
তখন সানা পড়া মুস্তাহাব। সূরা ফাতেহা দিয়ে শুরু করলেও কোন গুনাহ নেই।