জিজ্ঞাসা–১৮১৩: আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, –
اَلتَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَن لَّاإِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
উক্ত তাশাহুদ কি সঠিক?
أَشْهَدُ أَن لَّاإِلَهَ إِلَّا اللَّهُ এরপরে কি وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه এটা পড়া লাগবে?– Afif
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
উভয়টাই সঠিক। আপনি أَشْهَدُ أَن لَّاإِلَهَ إِلَّا اللَّهُ এরপরে وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه পড়তে পারেন। না পড়লেও অসুবিধা নেই। এর দলিল হল,
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযি. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর পিছনে নামায আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘আস্সালামু আলা জিব্রীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’ তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ নামায আদায় করবে, তখন সে যেন বলে,
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ
(সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।)
কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল)-ও পড়বে। (বুখারী ৮৩৫)
উক্ত তাশাহহুদ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযি. সুত্রে বর্ণিত বিধায় এটি ‘আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযি.-এর তাশাহহুদ’ নামে পরিচিত। পক্ষান্তরে আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাযি. সূত্রে বর্ণিত তাশাহহুদে أَشْهَدُ أَن لَّاإِلَهَ إِلَّا اللَّهُ এরপরে وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه অতিরিক্ত আছে। যার সম্পর্কে তিনি নিজে বলেন,
زِدْتُ فِيهَا: وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ
আমি এতে অতিরিক্ত বলতাম, ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ…। (আবু দাউদ ৯৭১)
যার কারণে এটি পরিচিত ‘আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাযি.-এর তাশাহহুদ’ নামে।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী