জিজ্ঞাসা–৭৬৮: কেউ দুশ্চরিত্র কিন্তু সে বিয়ে করার সময় সৎ ও ধার্মিক জীবনসঙ্গী খুঁজে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সে কি পাবে?–AR
জবাব: মানবচরিত্রের একটি স্বাভাবিক রুচিবোধ হল, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আগ্রহ এবং রুচিবোধ অনুসারে জীবন সঙ্গী খোঁজ করে নেয়। প্রবাদ আছে, ‘যেইছা কু তেইছা মিলে’ অর্থাৎ, যেমনের তেমন মিলে। আল্লাহও এটাই বলেন যে,
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। (সূরা নূর ৫১৭)
আয়াতটিতে এটা বলা হয় নি যে, কারো পক্ষ থেকে ব্যভিচার সংঘটিত হয়ে যাওয়ার পর যদি সে লজ্জিত হয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে তওবা করে, তাহলে সৎ ও ধার্মিক জীবনসঙ্গী পাবে না। বরং তাওবা করলে সেও সৎ ও ধার্মিক জীবনসঙ্গী পেতে পারে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًارَّحِيمًا
তবে যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আল ফুরকান ৭০)
বিস্তারিত দেখুন জিজ্ঞাসা নং–৫১৭।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী