জিজ্ঞাসা–৬০৭: আসসালামু আলাইকুম। হযরত, আমি একজন সৌদি প্রবাসী। আপনার নিকট আমি জানতে চাই যে, আমরা যে বিতরের শেষ রাকাতে দোয়ায়ে কুনুত পড়ি, সে দোয়ায়ে কুনুতের সাথে আমরা কোরান হাদিসে বর্ণিত অন্য কোন দোয়া পড়তে পারবো কিনা? অথবা এই দোয়া কুনুতের সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের প্রয়োজনীয় দোয়াগুলা আরবীতে করতে পারবো কিনা।। অনুগ্রহ করে জানাবেন।–সালমান সেলিম।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. দোয়ায়ে কুনুতের সঙ্গে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত অন্য যে কোনো দোয়া পড়া জায়েয আছে। ইমাম নববী রহ. বলেন,
واعلم أن القنوت لا يتعين فيه دعاء على المذهب المختار ، فأي دعاء دعا به حصل القنوت ولو قنت بآية ، أو آيات من القرآن العزيز وهي مشتملة على الدعاء حصل القنوت ، ولكن الأفضل ما جاءت به السنة ..
জেনে রাখুন, অগ্রগণ্য মাযহাব মতে, কুনূতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তাই যে কোনো দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনূত (আদায়) হয়ে যাবে; এমনকি দোয়াসম্বলিত এক বা একাধিক কোরআনের আয়াত পড়লেও কুনূতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম নববীর আল-আযকার ৫০)
দুই. নামাজরত অবস্থায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া ব্যতীত সাংসারিক/দুনিয়াবি অন্য কোনো দোয়া করলে হানাফি মাযহাব মতে নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক ২/৩) কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ ، لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ
অবশ্যই নামাজ মানুষের কথা-বার্তা বলার ক্ষেত্র নয়, এটা তো কেবল তাসবীহ, তাকবীর ও কোরআন পাঠের জন্যই সুনির্দিষ্ট। (মুসলিম ৮৪১)