জিজ্ঞাসা–২৮৯: নাপাক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করলে কী হবে?–মোঃ আশিকুর রহমান।
জবাব: পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। যা সর্বোচ্চ পবিত্র ও মর্যাদাসম্পন্ন। তাই এ পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কোরআন স্পর্শ করার জন্য ও তা পাঠ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। চার ইমামের ফতোয়া এটাই। নবীজী ﷺ এর সাহাবীগণও এ ফতোয়া প্রদান করতেন। ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া রহ. বলেন, ‘পবিত্র হওয়া ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হজরত আলী, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, সালমান, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. প্রমুখ সাহাবি। অন্য সাহাবিদের এর বিপরীত কোনো অভিমত নেই।’ (শরহুল মুহাজ্জাব : ২/৮০, মাজমুউল ফাতাওয়া : ২১/২৬৬)
অনুরূপভাবে এ বিষয়ে রয়েছে একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস। যেমন–
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেন, রাসূল ﷺ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”। (মুয়াত্তা মালিক ৬৮০, কানযুল উম্মাল ২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার ২০৯, আল মুজামুল কাবীর ১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর ১১৬২, সুনানে দারেমী ২২৬৬)
عن عبد الله بن عمر أن رسول الله ﷺ قال:لا يمس القرآن إلا طاهر
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। (মাযমাউজ যাওয়ায়েদ ৫১২)
সুতরাং বোঝা গেল, যে মুসলমান কোরআন স্পর্শ করতে ও তা পাঠ করতে ইচ্ছুক- তাকে অবশ্যই দৈহিকভাবে পবিত্র হতে হবে। অন্যথায় তাকে গুনাহগার হতে হবে।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী