জিজ্ঞাসা–১০৭৪: কোনো মসজিদের ইমাম যদি কুদৃষ্টির অভ্যাসে অভ্যস্ত থাকেন তবে উনার পিছনে মুক্তাদির ইক্তেদা করার ব্যাপারে হুকুম কি?–আব্দুলহক।
জবাব:
এক. একজন ইমাম যদি প্রকাশ্যে পর্দা লংঘন করেন তাহলে তিনি ফাসেক। এ জাতীয় ইমাম নিঃসন্দেহে ইমামতির যোগ্যতা রাখে না, বরং তার পেছনে নামায আদায় করা মাকরূহে তাহরীমী।
ফিকাহর কিতাবে এসেছে,
إن إمامةالفاسق مكروه تحريما
‘ফাসিক ব্যক্তির ইমামতি মাকরূহে তাহরীমী।’ (তাহত্বাভী পৃ: ২৪৪)
সুতরাং এমন ইমামের দায়িত্ব হল, এহেন গর্হিত কাজগুলো থেকে তাওবা করা। যদি তিনি তাওবা করে ফিরে না আসেন তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব হল, তাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে একজন মুত্তাকি ইমাম নিয়োগ দেয়া।
দুই. কিন্তু এ ইমামের পিছনে নামায বর্জন করতে গিয়ে জামাত বর্জন করা জায়েয হবে না। আলেমগণ লিখেছেন, এলাকাতে যদি শুধু একজন ইমাম থাকেন তাহলে তার পিছনেই জামাতে নামাযগুলো আদায় করতে হবে। কেননা জামাতে নামায আদায় করা, একাকী নামায আদায় করার চেয়ে উত্তম; এমনকি ইমাম ফাসেক কিংবা বিদআতী হলেও। কারণ সাহাবায়ে কেরাম জুমআর নামায, জামাতে নামায ফাসেক ইমামের পিছনেও আদায় করেছেন; তবুও তাঁরা জামাত বর্জন করেন নি। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. হাজ্জাজের পিছনে নামায পড়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. ও অন্যান্য সাহাবী ওয়ালিদ ইবনে উকবার পিছনে নামায পড়েছেন। ওয়ালিদ বিন উকবা মদ্যপ ছিল। তবুও তাঁরা জামাত ত্যাগ করেন নি। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা ২/৩০৭-৩০৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী