জিজ্ঞাসা–১৫৯৭: আসসালামু আলাইকুম। পিতার মৃত্যুর পর-পিতার অবৈধ সম্পদের ব্যপারে ওয়ারিসদের করণীয় কী? সেই সম্পদ তারা কী ভোগ করতে পারবে, না কি অন্য কিছু করণীয়? জনাবের কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা।–জুয়েল রউফ।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله
পিতার মৃত্যুর পর পিতার ওয়ারিসরা কেবল তার হালাল সম্পদগুলোর মিরাস পাবেন। আর অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে ওয়ারিসদের করণীয় হল, সেগুলো তারা মিরাসসূত্রে প্রাপ্ত হবেন না; বরং সেগুলো তারা–
১. বাবার পক্ষ থেকে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে দিবে।
২. মালিক না পাওয়া গেলে মালিকের ওয়ারিসদের নিকট ফেরত দিয়ে দিবে।
৩. মূল মালিক বা ওয়ারিসদের পরিচয় জানা না থাকলে বা খুঁজে বের করা সম্ভবপর না হলে, ওই সম্পদ সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত শুধু হারামের দায়ভার থেকে মুক্তির উদ্দেশ্য মূল মালিকের পক্ষ হতে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত গরিবদের মাঝে সাদাকা করে দিবে।
৪. ওয়ারিসদের মধ্যে যারা কর্মক্ষম ও চলার মত অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই তারা প্রয়োজন অনুযায়ী এ সম্পদ ভোগ করতে পারবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৩ আলইখতিয়ার ২/৫৬৮ রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৬ আলবাহরুর রায়েক ৮/২০১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/২৭৫ আহকামুল মালিল হারাম ৭৪)
কেননা, হারাম সর্বাবস্থায়ই হারাম। বাবার জন্য যেমন তা হারাম ছিল, ওয়ারিসদের জন্যও হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে,
ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أشْعَثَ أغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إلى السَّماءِ، يا رَبِّ، يا رَبِّ، ومَطْعَمُهُ حَرامٌ، ومَشْرَبُهُ حَرامٌ، ومَلْبَسُهُ حَرامٌ، وغُذِيَ بالحَرامِ، فأنَّى يُسْتَجابُ لذلكَ؟
অতঃপর তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ ) সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে লম্বা সফর করে আলুথালু ধূলিমলিন বেশে নিজ হাত দু’টিকে আকাশের দিকে লম্বা করে তুলে দোয়া করে, ‘হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রভু!’ কিন্তু তার আহার্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পরিধেয় পোশাক হারাম এবং হারাম দ্বারাই তার পুষ্টিবিধান হয়েছে। অতএব তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে!? (মুসলিম ১০১৫)