ফরজ নামাযের পরে আয়াতুল কুরসি এবং সুরা আল ইমরানের ১৮, ২৬ ও ২৭ নং আয়াত তেলাওয়াত করা

জিজ্ঞাসা–৫৪৭: আসসালামুআলাইকুম। আমার এক কলিগ একজন আলেম থেকে জেনেছেন যে, প্রত্যেক ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসি এবং সুরা আল ইমরানের ১৮, ২৬ ও ২৭ নং আয়াত প্রতিনিয়ত পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআ’লা মনের ৭০ টি নেক আশা পুরণ করেন। কথাটি কতটুকু সত্য? দয়া করে জানাবেন।–Mohammad Tafsir Ahmed

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

হাদিস শরিফে এসেছে,

، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ :  إِنَّ فَاتِحَةَ الكِتَابِ وَآيَةَ الكُرْسِيِّ وَالآيَتَيْنِ مِنْ آلِ عِمْرَانَ شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لا إِلَهَ إِلا هُوَ وَالمَلائِكَةُ وَأُولُو العِلْمِ قَائِمًا بِالقِسْطِ لا إِلَهَ إِلا هُوَ العَزِيزُ الحَكِيمُ إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإِسْلامُ . . . . سورة آل عمران آية 18 – 19 و قُلِ اللَّـهُمَّ مَالِكَ الـمُلْكِ تُؤْتِي الـمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الـمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الحَيَّ مِنَ الـمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الـمَيِّتَ مِنَ الحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ سورة آل عمران آية 27 هُنَّ مُشَفّعَاتٌ ، مَا بَيْنَهُنَّ وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ، يَقُلْنَ : يَا رَبِّ تُهْبِطُنَا إِلَى أَرْضِكَ وَإِلَى مَنْ يَعْصِيكَ ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : إِنِّي حَلَفْتُ لا يَقْرَأُ بِهِنَّ أَحَدٌ مِنْ عِبَادِي دُبُرَ كُلِّ صَلاةٍ إِلا جَعَلْتُ الجَنَّةَ مَأْوَاهُ عَلَى مَا كَانَ فِيهِ ، وَإِلا أَسْكَنْتُهُ حَظِيرَةَ الفِرْدَوْسِ ، وَإِلا قَضَيْتُ لَهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعِينَ حَاجَةً أَدْنَاهَا المَغْفِرَةُ

আলী ইবন আবু তালিব রাযি . থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ  ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় সূরা ফাতিহাহ, আয়াতুল কুরসী এবং সূরা আল-ইমরানের দুই  আয়াত-

 . . . .شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لا إِلَهَ إِلا هُوَ وَالمَلائِكَةُ وَأُولُو العِلْمِ قَائِمًا بِالقِسْطِ لا إِلَهَ إِلا هُوَ العَزِيزُ الحَكِيمُ إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإِسْلامُ

قُلِ اللَّـهُمَّ مَالِكَ الـمُلْكِ تُؤْتِي الـمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الـمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الحَيَّ مِنَ الـمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الـمَيِّتَ مِنَ الحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ

পাঠকারীর জন্য সবই গ্রহণীয় শাফায়াত। সেগুলো এবং আল্লাহর মধ্যে কোন পর্দা থাকে না। অতঃপর আমরা বললাম হে প্রতিপালক। তুমি কি আমাদেরকে তোমার যমীনে এবং তোমার অবাধ্য ব্যক্তির নিকট নামিয়ে দিবে? আল্লাহ বললেন, আমি আমার নিজের কসম করে বলছি, আমার বান্দাদের থেকে যদি কেউ প্রত্যেক নামাযের পরে সেগুলো পাঠ করে, তাহলে জান্নাতকে তার আশ্রয় স্থল বানিয়ে দিব। পরিবেষ্টিত জান্নাতুল ফিরদাউসকে বাসস্থান হিসাবে নির্ধারিত করে দিব। প্রতিদিন তার সত্তরটি প্রয়োজনীয়তাকে পূর্ণ করে দিব, যার সর্ব নিম্নটা হচ্ছে তাকে ক্ষমা করে দেয়া। (আব্দুল খালেক ইবন যাহির আশ-শাহহামীকৃত কিতাবুল আরবাঈন ২/২৬)

তবে উক্ত হাদিসে আব্দুর রহমান ইবন আবু রাশীদ আযযানজারী ও আহমাদ ইবনুল হুসাইন আলআমরাবী নামক দুইজন অজ্ঞাত রাবী থাকার কারণে মুহাদ্দিসগণ হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। (আল-লাআলী ১/২২৯-২৩০) 

الله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

১ টি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 1 =