জিজ্ঞাসা–১৭৭: জানাবাতের গোসল সুর্য ওঠার পর করলে কি রোজা হবে? –মোঃ মোক্তার হোসেন।
জবাব: জানাবাতের গোসল (ফরয গোসল) সুর্য ওঠার পর করলেও রোজা হয়ে যায়। তবে বিনা ওজরে দেরি করে সূর্যোদয়ের পর নামাজ আদায় করা আপনার জন্য হারাম হবে। আপনার উপর ফরজ হল, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে যথাসময়ে নামায আদায় করা। কেননা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। এক্ষেত্রে অলসতা বা তীব্র লজ্জা গ্রহণযোগ্য কোন ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। সুতরাং যদি আপনার এ গুনাহ হয়ে থাকে, তাহলে এখন আপনার কর্তব্য হচ্ছে- এ গুনাহ থেকে তওবা করা, ইস্তিগফার করা । (মুসলিম হাদিস নং ২৫৯২, বাদায়ে, ১/১৫১)
উল্লেখ্য, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে সেহরি খেতে কোনো নিষেধ নেই। তবে এমতাবস্থায় কুলি করে এবং উভয় হাত ধুয়ে পানাহার করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাযি. বর্ণনা করেন:—
كان يدركه الفجر وهو جنب من أهله ثم يغتسل ويصوم
সহবাসের ফলে না-পাকি অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৯২৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
বুখারি শরিফে একটি অ্যাপসে দেখলাম অন্য হাদিস আছে
১৯২৬ হাদিস নম্বরে ….
কিন্তু এখানে ১৯২৬ এ অন্য হাদিস কিছু বুঝলাম প্লিজ বলবেন…….
…..নিম্নে হাদিসটি****
সহবাসের ফলে না-পাকি অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। (বুখারি : ১৯২৬
নাম্বারিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে অনেক সময় মিল থাকে না। এতে অসুবিধা নেই। কেননা,নাম্বার তো হাদিস নয়। হাদিসের মূলপাঠ হল হাদিস। এজন্যই হাদিসের মূলপাঠ দিয়ে দেয়া হয়েছে– كان يدركه الفجر وهو جنب من أهله ثم يغتسل ويصوم