জিজ্ঞাসা–২০৭: আসসালামুয়ালাইকুম। শেইখ, প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাযের পাশাপাশি কোনটা বেশি জরুরি-১২ রাকাত সুন্নাত নামায পড়া নাকি আমার জীবনের ছুটে যাওয়া এক দিনের কাযা নামায পড়া?— তাহসিন কামাল: [email protected]
জবাব:وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, যেহেতু উমরি-কাজা আদায় করার সুযোগ আপনার জন্য অন্য সময়েও আছে; পক্ষান্তরে উল্লেখিত বার রাকাত সুন্নত নামাজ যথা সময়ে না পড়লে পড়ার সুযোগ আপনি পরে আর পাচ্ছেন না,তাই আপনি এই বার রাকআত নামাজ যথাসময়ে আদায় করবেন এবং উমরি-কাজা সময়ের ফাঁকে ফাঁকে যত বেশি সম্ভব আদায় করতে থাকবেন।
কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ-পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজের পূর্বে ও পরে এই বার রাকাত সুন্নত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই বার রাকাত সুন্নতকে সুন্নাতে মুআক্কাদা বলা হয়। এই বার রাকাত সুন্নত সালাতের অনেক বড় ফযীলত রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী