জিজ্ঞাসা–১১২২: বিতর নামায ওয়াজিব না সুন্নত?–Nazmul Ahsan Ruhan
জবাব: বিতিরের নামাজ ওয়াজিব। ইবনু কুদামা রহ. বলেন,
قال أبو حنيفة : هو واجب . ثم قال : قال أحمد : من ترك الوتر عمدا فهو رجل سوء ، ولا ينبغي أن تقبل له شهادة ، وأراد المبالغة في تأكيده لما قد ورد فيه من الأحاديث في الأمر به ، والحث عليه
আবু হানিফা বলেছেন, ‘এটি ওয়াজিব।’ এরপর তিনি বলেন, আহমাদ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে বিতিরের নামায পড়ে না সে একজন খারাপ লোক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। এ বিষয়ের প্রতি নির্দেশ ও উৎসাহ প্রদানকারী অনেক হাদিস বর্ণিত হওয়ার কারণে তিনি জেনে-বুঝে এর উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। (মুগনি ১/৮২৭)
নিম্নে কয়েকটি হাদিস পেশ করা হল–
১. আলী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ ، أَوْتِرُوا ، فَإِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ
ওহে আহলে কুরআন, তোমরা বিতির (বেজোড়) নামায আদায় কর। কারণ নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন- বেজোড়। তিনি বেজোড়কে পছন্দ করেন। (আবু দাউদ ১৪১৬ নাসায়ী ১৮৭৮ ইবনু মাজাহ ১১৬৯)
২. খারিজাহ ইবন হুযাফা আল-আদাবী রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক বার আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ ﷺ এসে বলেন,
إِنَّ اللَّهَ أَمَدَّكُمْ بِصَلاَةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ الْوِتْرُ جَعَلَهُ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা একটি নামায দিয়ে তোমাদের সাহায্য করেছেন। এটা তোমাদের জন্য অনেক লাল উটের চেয়েও উত্তম তা হল বিতিরের নামায। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য এটা ইশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়ের জন্য নির্ধারণ করেছেন। (আবু দাউদ ১৪১৮ তিরমিযী ৪৫২ ইবনু মাজাহ ১১৬8)
৩. বুরাইদা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا
বিতির নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (আবু দাউদ ১৪২১)
৪. বিতির ওয়াজিব বিধায় কেউ যদি সময় মত না পড়ে তাহলে কাজা করতে হয়। এ মর্মে আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ نَامَ عَنْ وِتْرِهِ أَوْ نَسِيَهُ فَلْيُصَلِّهِ إِذَا ذَكَرَهُ
যে ব্যক্তি নিদ্রা বা ভুলের কারণে বিতিরের নামায আদায় করে নাই, সে যেন তা স্মরণ হওয়ার পরপরই আদায় করে নেয়। (আবু দাউদ ১৪৩১)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী