জিজ্ঞাসা–১৪০০: সামান্য সামান্য বীর্য আসলে কী রোজা ভেঙ্গে যায়?–মোহাম্মদ আসলাম হোসেন।
জবাব:
এক. রমজান মাসে দিনের বলা রোজা অবস্থায় যদি কেউ হস্তমৈথুনসহ অন্য যে কোনো উপায়ে ঘর্ষণ-মর্দন করে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার ওপর যা বর্তাবে তাহল–
১। সে গুনাহগার হবে। সুতরাং তাকে তাওবা করতে হবে।
২। তার ওই দিনের রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং তার ওই দিনের রোজা ক্বাযা করতে হবে।
৩। ওই দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪। তবে তার উপর কাফফারা নেই। কেননা, কাফফারা কেবল স্ত্রী সহবাসে জরুরি হয়। (আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫০; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/৩৭৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৫)
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
فإنَّه لي، وَأَنَا أَجْزِي به، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِن أَجْلِي
যেহেতু রোজা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিব। রোজা পালনকারী আমারই কারণে নিজের কামাচার এবং পানাহার পরিত্যাগ করে। (মুসলিম ১১৫১)
দুই. পক্ষান্তরে যদি কোনো প্রকার ঘর্ষণ-মর্দন ছাড়া যদি এমনিতে বীর্যপাত হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকিয়েছে। ফলে তার বীর্যপাত হয়ে গেছে তার রোজা কি ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, না। সে রোজা পূর্ণ করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী