জিজ্ঞাসা–১৪৮৮: আমরা বাচ্চা নিতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে রবি ও বুধবার সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তান জালিম ও হত্যাকারী হয় কথাটা কতটুকু দলিলসম্পন্ন?–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জবাব:
এক. রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করা হারাম। এছাড়া হজ্জ কিংবা উমরার ইহরাম অবস্থায় হারাম। এবং মহিলারা হায়েয বা নিফাস অবস্থায় থাকলে হারাম। এছাড়া ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় বা দিন নেই; বরং দিবারাত্রে যে কোনো দিন যে কোনো সময় স্বামী স্ত্রীর যখনই সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা বাকারা ২২২)
দুই. মূলত: প্রশ্নেল্লেখিত এজাতীয় বিশ্বাস শুধু ইসলাম বিরোধী কুসংস্কারই নয়; উপরন্তু এরূপ বিশ্বাসের ফলে ঈমান নষ্ট হয় বলে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে। যেমন, এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ তিন বার বলেছেন,
الطِّيَرَةُ شِرْكٌ
অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা বা নির্ণয়ের চেষ্টা করা শিরক। (আবু দাউদ ৩৯১০)
সুতরাং সকল মুসলিমকে এ ধরণের বিশ্বাস হতে উদ্ভূত অনুভূতিকে পরিহার করতে বিশেষভাবে যত্নশীল হতে হবে। অজ্ঞাতসারে যদি কেউ এজাতীয় বিশ্বাসের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে তাহলে অবশ্যই আল্লাহর নিকটে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে তাওবা করতে হবে।
এমর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মতকে একটি দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। দোয়াটি এই–
اَللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ وَلاَطَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ وَلاَ إِلٰهَ غَيْرُكَ
অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! আপনার কল্যাণ ব্যতীত কোনকল্যাণ নেই এবং আপনার দেয়া শুভাশুভত্ব ব্যতীত কোন শুভ বা অশুভ নেই এবং আপনি ব্যতীতকোন ইলাহ নেই। (আহমাদ ২/২২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী