জিজ্ঞাসা–১৪৮৭: লোন নিয়ে প্রবাসে গিয়ে আয়কৃত টাকা হালাল কিনা?–হাসান।
জবাব: ঋণপ্রথা বৈধ, যা সুন্নাহ এবং ইজমা (ঐক্যমত) দ্বারা প্রমাণিত। (মুগনী, ইবনু কুদামাহ,৬/৪২৯)
তবে সুদের ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা জায়েয নয়। বরং ঈমানের পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য শর্ত হল, সুদ ও যাবতীয় হারাম পন্থা পরিহার করে বৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ওই ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছে, ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তাআলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই জাহান্নামে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাকারা ২৭৫-২৭৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী