জিজ্ঞাসা–৮৪০: আসসালামুআলাইকুম। আমার এক কলিগের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নগুলো করছি।–১। আমি একটি বিদেশী কোম্পানীতে চাকুরী করি হিসাবরক্ষণ বিভাগে। কোম্পানীর অর্থ ব্যাঙ্কে এফ.ডি.আর হিসাবে রাখা হয়। ব্যাঙ্ক এর বিপরীতে একটা সুদ/রেট ধার্য করে। আর আমার জব রেস্পন্সিবিলিটি হিসাবে এই রেটটা নিয়ে দর কষাকষি করতে হয় ব্যাঙ্কের সাথে। এর সাথে সাথে এই সুদের হিসাবও আমাকে রাখতে হয়। আমার প্রশ্ন সাধারণ কর্মী হিসাবে আমার করণীয় কি? আমি কি এই জন্য গুনাহগার হব? ২। এফ.ডি.আর থেকে প্রাপ্ত সুদ কোম্পানীর অন্যান্য অর্থের সাথে যোগ হয়ে যায় এবং আমাদের বেতনের সাথে এই সুদের টাকা চলে আসে। এইক্ষেত্রে আমাদের বেতন কি হারাম? দয়া করে দ্রুত জানাবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দান করুন।–Mohammad Tafsir Ahmed
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. বলা বাহুল্য, যেসব পদ সুদি অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত যেমন, সুদ দেয়া, নেয়া, সাক্ষী থাকা, লেখালেখি, কমিশন, দর কষাকষি করা, অ্যাজেন্ট বা সরাসরি সুদ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করা নাজায়েয। সুতরাং উক্ত ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় উক্ত প্রতিষ্ঠানে উক্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া। কেননা, এটা গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহায়তার মধ্যে পড়ে। তাই এটি থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। এর দলিল হল,
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
দুই. আর বেতনের ব্যাপারে কথা হল, যদি প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক কাজের জন্য খোলা হয়, কিন্তু এতে সুদের কারবার মিশ্রিত থাকে, তা হলে সাধারণভাবে এর বেতন পুরোপুরি হারাম নয় বরং শুধু সুদি অংশটি হারাম। (ফাতওয়ায়ে উসমানী ৩/৩৯৪-৩৯৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আমার বেতনের কতটুকু সুদ থেকে আসে এইটাতো আমি জানি না। সেইক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
সুতরাং আপনার বেতন হবে হালাল ও হারাম মিশ্রিত। এজন্য কর্তব্য হল, উক্ত প্রতিষ্ঠানে উক্ত কাজ চালিয়ে না যাওয়া। আমাদের পরামর্শ হল, আপনি একটি সম্পূর্ণ হালাল চাকরি খুঁজতে থাকুন। হালাল চাকরি পাওয়ার পর এই চাকরি ছেড়ে দিবেন।
জাযাকাল্লাহ