জিজ্ঞাসা–১০৫৪: সুদের টকা দিয়ে করা বিল্ডিং-এ থাকা কি জায়েয হবে? জানালে উপকৃত হবে।–Nahin Ayman
জবাব: কোনো ব্যক্তি যদি সুদের টাকা দিয়ে বাড়ি বানায় তাহলে ওই বাড়ি ব্যবহার করা ও তা দ্বারা উপকৃত হওয়া তার জন্য নাজায়েয। এখন যদি ওই ব্যক্তি এই বাড়ি থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চান, তবে যে পরিমাণ সুদের টাকা উক্ত বাড়ি নির্মাণে খরচ করেছেন সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সে পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিলে ওই ব্যক্তি উক্ত বাড়ির মালিক হয়ে যাবেন। তখন তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয হবে। সদকা করার আগ পর্যন্ত ঐ সম্পদ হালাল হবে না এবং এর থেকে কোনো প্রকার উপকৃত হওয়াও তার জন্য বৈধ হবে না। আর পিছনের জীবনে হারাম উপার্জন ও তার ভোগব্যবহারের কারণে আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা-ইস্তিগফারও করতে হবে। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৬১৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩২২; বাদায়েউস সানায়ে ৬/১৫০; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৮/২৫৮)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। (সূরা বাকারা ২৭৮-২৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রাযি. বলেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤْكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ
‘রাসূলুল্লাহ ﷺ সুদ ভক্ষণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের লেখক এবং সাক্ষীগণকে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, (গুনাহের ক্ষেত্রে) তারা সবাই বরাবর।’ (মুসলিম ১৫৯৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী