জিজ্ঞাসা–১৫৯: ইমামের কেরাত মুক্তাদির জন্য যথেষ্ঠ এটা সূরা ফাতেহার পরে অন্য সূরা বা কেরাতের জন্য প্রযোজ্য এটা কি ঠিক? –– মোঃ সাইফুদ্দিন, বাড্ডা।
জবাব: না, কথাটা ঠিক নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ ﷺ যে বলেছেন,مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ ‘যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৮৫০) এই হাদীস পবিত্র কোরআনের যে কোন অংশের জন্য প্রযোজ্য হবে। কারণ এখানে কেরাতের অর্থ হল-কোরআন পড়া। ফাতিহা যেহেতু কুরআনেরই একটি সূরা তাই ফাতিহা পড়া কিরাত (কোরআন পড়া) হবে না কেন!
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, বিষয়টি এতটাই স্পষ্ট যে, এর জন্যে দালীলিক আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। তবু আমরা এখানে শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করছি, যাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহাও ‘কেরাত’-এর অন্তর্ভুক্ত। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
كان رسول الله ﷺ يستفتح الصلاة بالتكبير والقراءةَ بالحمد لله رب العالمين.
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকবীরের মাধ্যমে নামায শুরু করতেন এবং ‘আল-হামদু লিল্লাহি রাবিবল আলামীন’-এর মাধ্যমে কিরাত শুরু করতেন।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৯৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৭৭৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৫০৭; মুসনাদে আহমদ ৬/৩১)
এই হাদীসে সুস্পষ্টভাবে সূরা ফাতিহাকে ‘কেরাত’ বলা হল।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী