জিজ্ঞাসা–৭১৫: আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ, স্বামীর চরিত্র খারাপ এবং বিয়ের আগে সে বিবাহিত ছিলো তা গোপন রেখে সে সেকেন্ড বিয়ে করে এবং কয়েকদিন পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পরে তার একটা সন্তানও হয়। স্বামি এখন প্রথম স্ত্রি এর সাথে থাকে ছোট বউ এর খবর নেয় না! তাই ছোট বউ ডিভোর্স চাচ্ছে কিন্তুু স্বামী দিচ্ছেনা এবং ৬ মাস যাবত যোগাযোগও নাই। স্ত্রী ডিভোর্স চায় স্বামী দিচ্ছেও না যোগাযোগ ও নাই। এখন করণীয় কি?–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. কোনো শরঈ ওজর ব্যতীত স্ত্রীর জন্য তালাক চাওয়ার অনুমতি নেই। কেননা সাওবান রাযি. সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِي غَيْرِ مَا بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّة
যদি কোনো মহিলা অহেতুক তার স্বামীর নিকট তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম হয়ে যায়। (আবু দাউদ ২২২৬ তিরমিযি ১১৮৭)
সুতরাং বাস্তবেই যদি উক্ত স্বামী প্রশ্নে যা বলা হয়েছে তেমন হয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর জন্য আদালতের মাধ্যমে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে। এক্ষেত্রে যদি সে সংশোধন না হয় এবং তালাকও না দেয় তাহলে আদালত তাকে তালাক দেয়ার জন্য বাধ্যও করতে পারে।
তবে যদি উক্ত স্ত্রী এই আশায় সবর করে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে সংশোধন করে দিবেন এবং সে নিজের সন্তানের মায়ায় হলেও আবার ফিরে আসবে তাহলে এই ইখতিয়ারও স্ত্রীর আছে।
দুই. এজন্য উক্ত স্ত্রীর প্রতি আমাদের উপদেশ হল, নিজের অবস্থা নিজে যাচিয়ে-খতিয়ে দেখা এবং কোনটা তার জন্য বেশি উত্তম হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া। আর নিজের গুনাহর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করা, অধিকহারে ইস্তেগফার পড়া। কেননা, অনেক সময় এরূপ মুসিবত নিজের গুনাহর কারণে এসে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَا أَصَابَكُم مِن مُصِيبةٍ فَبِمَا كَسَبت أَيْديكُم وَيعْفو عَنْ كَثِيرٍ
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। (সূরা শুরা ৩০)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ لَزِمَ الاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا وَمِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِب
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী