জিজ্ঞাসা–১৪১৮: আমার উপর যাকাত ফরজ নয় কিন্তু আমার স্ত্রীর নেসাব পরিমাণ স্বর্ণ আছে। সেক্ষেত্রে কি আমাকেই যাকাত আদায় করতে হবে নাকি আমার স্ত্রীকে যাকাত আদায় করতে হবে? নাকি কাউকেই করতে হবেনা? উল্লেখ্য, আমার স্ত্রী একজন গৃহিণী।–রাশিদুল হাসান।
জবাব: যাকাত সম্পদের মালিকের উপরই ফরয হয়। সুতরাং আপনার স্ত্রীর অলংকারের যাকাত আপনার স্ত্রীই আদায় করবে। প্রয়োজনে স্বর্ণের কিছু অংশ বিক্রি করে যাকাত দিবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ما مِن صاحِبِ ذَهَبٍ ولا فِضَّةٍ لا يؤدِّي منها حَقَّها إلَّا إذا كان يومُ القيامةِ، صُفِّحَتْ له صفائِحُ مِن نارٍ، فأُحمِيَ عليها في نارِ جهنَّمَ، فيُكوى بها جنبُه وجبينُه وظهرُه، كلَّما برُدَت أُعيدَتْ له في يومٍ كان مقدارُه خمسينَ ألفَ سَنةٍ، حتَّى يُقضى بين العبادِ؛ فيَرَى سبيلَه؛ إمَّا إلى الجنَّةِ، وإمَّا إلى النَّارِ
কোন স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যদি এগুলোর হক (যাকাত) আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিনে তার জন্য আগুনের পাত তৈরি করা হবে। তারপর জাহান্নামের অগ্নিতে উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পার্শ্বে ও ললাটে, পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। এরপর যখন উত্তপ্ততা কমে যাবে তখন পূনরায় তা উত্তপ্ত করা হরে। এভাবে চলতে থাকবে, দিনভর যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যে পর্যন্ত না বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা হবে। অতঃপর দেখান হবে তার পথ হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে। (সহিহ মুসলিম ৯৮৭)
তবে আপনি যদি তার অনুরোধে বা অনুমতিক্রমে খুশি মনে তার যাকাত আদায় করে দেন তাহলেও আদায় হয়ে যাবে এবং আপনি সওয়াবের ভাগী হবেন। বরং সামর্থ্যবান স্বামীর জন্য অর্থের সাথে জড়িত ফরযগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সহযোগিতা করাই বাঞ্ছনীয়। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪৭০, ৮/২৩০ আহকামুল কুরআন জাসসাস ৩/১০৭ আদ্দুররুল মুখতার ২/২৯৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী