জিজ্ঞাসা–১৫২৪: অজ্ঞতাবশত হস্তমৈথুনের কারণে রোজা ভেঙে গেলে করণীয় কি?–Mahabub
জবাব: রোজা অবস্থায় যদি কেউ হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার ওপর যা বর্তাবে তাহল–
১। সে গুনাহগার হবে। সুতরাং তাকে তাওবা করতে হবে।
২। তার ওই দিনের রোজা ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং তার ওই দিনের রোজা ক্বাযা করতে হবে।
৩। ওই দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪। তবে তার উপর কাফফারা নেই। কেননা, কাফফারা কেবল স্ত্রী সহবাসে জরুরি হয়। (আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫০; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/৩৭৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৫)
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
فإنَّه لي، وَأَنَا أَجْزِي به، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِن أَجْلِي
যেহেতু রোজা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিব। রোজা পালনকারী আমারই কারণে নিজের কামাচার এবং পানাহার পরিত্যাগ করে। (মুসলিম ১১৫১)
বলা বাহুল্য যে, হস্তমৈথুন কামাচারের অন্তর্ভুক্ত, তাই সেটি পানাহারের ন্যায় রোজা ভঙ্গকারী। আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা গ্রন্থে (৪/১০০) এসেছে,
الاِسْتِمْنَاءُ بِالْيَدِ يُبْطِل الصَّوْمَ عِنْدَ الْمَالِكِيَّةِ ، وَالشَّافِعِيَّةِ ، وَالْحَنَابِلَةِ ، وَعَامَّةُ الْحَنَفِيَّةِ عَلَى ذَلِكَ
মালেকি মাযহাব, শাফেয়ি মাযহাব, হাম্বলি মাযহাব ও হানাফি মাযহাবের অধিকাংশ আলেমের মতে: হস্তমৈথুন রোজাকে বাতিল করে দেয়।
والله أعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী