জিজ্ঞাসা–১৩৬৫: আমি আগে ৫ বা ৬ বছর ধরে না বুঝে হস্তমৈথুন করতাম কিন্তু এখন বাদ দিয়েছি ৫ মাসের মত হবে এবং তওবা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন? আর আমি কি আগের মত শক্তি ফিরে পাবো কখনও বা দূর্বলতা চলে যাবে কি?–ইচ্ছাকৃতভাবে নামঠিকানা প্রকাশ করা হয় নি।
জবাব:
এক: প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, যেহেতু তাওবা করার পর আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, সুতরাং যিনি তাওবা করেছেন, তার জন্য কর্তব্য হল, আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ না হওয়া। দেখুন, আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,
قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ।(সূরা যুমার ৫৩)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর পরকালীন শাস্তির ওয়াদার কথা উল্লেখের পর বলেন,
সুতরাং মূল বিষয় হল, তাওবা। তাওবা করার পর ‘আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন? আর আমি কি আগের মত শক্তি ফিরে পাবো কখনও বা দূর্বলতা চলে যাবে কি?’–এজাতীয় অহেতুক চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
দুই: আর তাওবার মূল হল, লজ্জিত হওয়া। এমনকি সহিহ বুখারীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে এসেছে, মাশায়েখগণ এও বলেছেন, يَكْفِي فِي التَّوْبَةِ تَحَقُّقُ النَّدَمِ লজ্জিত হওয়াটা পাওয়া গেলেই চলবে, তাওবা হয়ে যাবে। হাদিসেও আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, النَّدَمُ تَوْبَةٌ লজ্জিত হওয়াটাই তাওবা। (সহিহ ইবন হিব্বান ২/৩৭৯)
সুতরাং আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হোন এবং তাওবা করেছেন; এটা বুঝানোর জন্য অধিকহারে ইস্তেফার করুন। ভবিষ্যতে আর এপাপকর্মে লিপ্ত হবেন না বলে দৃঢ় সংকল্প করুন। এই কাজে পুনরায় জড়িয়ে পড়া থেকে পরিপূর্ণ সতর্ক থাকুন। নেক কাজের প্রতি মনোযোগী হোন এবং তাওবা করার সময় আল্লাহ তাআলার রহমতের আশা রাখুন। মনে রাখবেন, আমাদের গুনাহর চাইতে তাঁর রহমতের সংখ্যা আরো বেশি। আমরা যে পরিমাণে গুনাহ করতে পারি, তিনি এর চাইতে বেশি মাফ করতে পারেন।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী