জিজ্ঞাসা–২৯৭: হারাম রিলেশন (ভার্চুয়াল অর্থাৎ ফোনে বা চ্যাটে) যদি হয় এবং ভুল বুঝে কেউ তাওবা করে তাহলে সেক্ষেত্রে কি তার জন্য ১০০ বেত্রাঘাতের বিধান বহাল থাকবে নাকি তাওবা করার কারণে ওই বিধান মওকুফ হবে?–আলিশা তাউফাজ।
জবাব: প্রিয় প্রশ্নকারী বোন, ফোনে বা চ্যাটে হারাম রিলেশনও একপ্রকার ব্যভিচার। কেননা, আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه
‘’দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, জিহবার ব্যভিচার হল, [পরনারীর সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (সহীহ মুসলিম: ২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ: ৮৯৩২)
তবে এটা গুপ্তাঙ্গেঁর ওই পর্যায়ের ব্যভিচার নয়, যার শাস্তির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ ব্যভিচারিনী এবং ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত কষাঘাত করবে। আলাহর বিধান কার্যকারীকরণে তাদের প্রতি দয়া যেনো তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে। (সুরা নূর: ০২)
আর যে কোনো পর্যায়ের ব্যভিচারী যদি সত্যিকার অর্থে দৃঢ়চিত্তে তাওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। কেননা, ব্যভিচারীর পরকালীন শাস্তির ওয়াদার কথা উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًارَّحِيمًا
‘’তবে যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।‘’ (সূরা আল ফুরকান: ৭০)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন: ব্যভিচার থেকে তাওবা এবং ব্যভিচারীর শাস্তি
আরো পড়ুন: খুন বা ধর্ষণ করার পর কি তাওবা করা যায়?