জিজ্ঞাসা-২৫:হালখাতা এবং হালখাতার মিষ্টি কি জায়েজ? সানজিদ, মিরপুর।
জবাব :হালখাতা ফারসিজাত শব্দ। হালখাতার অনুষ্ঠানটি ধর্ম প্রভাবান্বিত কোনো অনুষ্ঠান নয়। এটা নিতান্তই ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত ব্যবসা কৌশলমাত্র। ‘আল্লাহ ব্যবসাকে করেছেন হালাল আর সুদকে করেছেন হারাম।’ আল্লাহর রাসূল ﷺ নিজে ব্যবসায়ী ছিলেন। এ জন্যে মুসলমান মাত্রই ব্যবসাকে হালাল রুজির একটি অন্যতম পবিত্র মাধ্যম বলে মনে করেন। আর ব্যবসা চালাতে গিয়ে অনেক সময় বাকীতে মালামাল বিক্রি করতে হয়। তবে যে পরিমাণ বাকীই থাকুক না কেন, এটা পরিশোধ করতে হবে পহেলা বৈশাখের আগে। কেননা কোনো ব্যবসায়ী পুরনো খাতার বকেয়ার হিসাব নতুন খাতায় তুলতে চান না। এভাবে বছরের প্রথম দিন থেকে খোলা হয় নতুন খাতা, যাকে বলা হয়- হালখাতা। আর এ খাতা খোলার দিন আয়োজন করা হয়- হালখাতা নামক অনুষ্ঠানের। এ ধরনের অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত লোকজন সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়। যাদের বকেয়া আছে তারা বকেয়া পরিশোধ করেন আর যাদের বকেয়া নাই তারাও কুশল বিনিময় করতে আসেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আগতদের মিষ্টি মুখ করানো হয়। সুতরাং হালখাতায় যদি গান-বাজনা বা কোন শরী‘আত বিরোধী কাজ না করা হয়, কোন প্রকার প্রতারণা বা যুলুম না থাকে একমাত্র পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে হয়, তাহলে তা বৈধ হবে। পরিশোধের লক্ষ্যে কর্য বা বাকী নিলে আল্লাহ তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কর্য পরিশোধের আশায় কর্য গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে কর্য পরিশোধ করার সুযোগ দান করেন। আর যে ব্যক্তি এই আশায় কর্য গ্রহণ করে না, আল্লাহ তার কর্য পরিশোধের সুযোগ করে দেন না’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৯১০)।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী